বাংলা পক্ষ পালন করলো জাতীয় শিক্ষক দিবস : সম্মাননা জানানো হল আদর্শ শিক্ষককে

26th September 2021 5:57 pm বর্ধমান
বাংলা পক্ষ পালন করলো জাতীয় শিক্ষক দিবস : সম্মাননা জানানো হল আদর্শ শিক্ষককে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান )  : পূর্ব বর্ধমান বাংলা পক্ষ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে পালিত হল শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠান। বাংলা পক্ষ প্রদত্ত "জাতীয় শিক্ষক সম্মান-১৪২৮" প্রদান করা হল বর্ধমান জেলার আদর্শ শিক্ষক সেখ ইদবক্স মহাশয়কে। আজকের এই শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ছবিতে পুষ্পাঞ্জলি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুভ সূচনা করা হয়। আমাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন 'এশিয়াটিক সোসাইটি' থেকে বিদ্যাসাগর গবেষক প্রদ্যুৎ শীল এবং বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য মনোজিৎ বন্দোপাধ্যায়।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন পূর্ব বর্ধমান বাংলা পক্ষর সহ-সম্পাদক অসিত সাহা। বর্ধমান সদর থেকে বাংলা পক্ষ সদস্য তৌফিক আহমেদ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মদিবসকে সামনে রেখে তাঁর মহৎ কর্ম-সংক্রান্ত পাঠ করেন। এরপর অনুষ্ঠানের অতিথী বিদ্যাসাগর গবেষক প্রদ্যুৎ শীল, "জাতীয় শিক্ষক সম্মান-১৪২৮" সম্মানপ্রাপ্ত আদর্শ শিক্ষক সেখ ইদবক্স মহাশয়, বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য মনোজিৎ বন্দোপাধ্যায় এবং জেলার সহ-সম্পাদক অসিত সাহা মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার সহযোদ্ধা ও জেলার সচেতন বাঙালি নাগরিকবৃন্দ।

আজকের এই মহতী অনুষ্ঠানের আপামর বাংলার বাঙালি জাতি বাংলা পক্ষর দাবিকে সমর্থন জানিয়ে এবং বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সম্মান জানিয়ে সুরে সুর মিলিয়ে দাবিতে সোচ্চার হন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মদিন অর্থাৎ ২৬শে সেপ্টেম্বরই জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করবে এবং তার সাথে সাথে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই দাবি যাতে গ্রহণ হয় তার জন্য বাংলা পক্ষর সাথে লড়াই চালিয়ে যাবে।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।